রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে অবৈধভাবে জমি ও বসতবাড়ি জোরপূর্বক দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করছেন বাঘাইছড়ি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাদের মেম্বার পাড়ার বাসিন্দা ভুক্তভোগী মোঃ ইউনুস আলী (৭৫) ও তার সন্তান মোঃ হুমায়ুন।
রবিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১২ টায় বাঘাইছড়ি প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্য প্রেসক্লাব বরাবর প্রদান করে ভুক্তভোগী মোঃ ইউনুচ আলীর পক্ষে তার সন্তান মোঃ হুমায়ুন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দুই ভাই দৃষ্টি প্রতিবন্দি আমি ও আমার বড় ভাই সোলাইমান, আমার বাবা ২০০৯ সালে মাদ্রাসা পাড়া নিবাসী মিজানুর রহমান বাচ্চু ও মজিবর রহমানের কাছ থেকে তাদের রেকর্ডীয় ০৩ শতক জায়গা ক্রয় করে, যার তফশিল - ৩৭৮নং মারিশ্যা মৌজা হোল্ডিং নং ৩৫৮, খতিয়ান নং ৫৭ /ঞ, দাগ নাম্বার ২৯৪৬। যায়গা ক্রয় করার পর ঘর নির্মাণ পূর্বক ভাড়া দেই, আমাদের টাকার প্রয়োজন হওয়ায় জায়গাটি রাবেয়া আক্তারকে বন্ধক দেই, বন্ধক গ্রহীতার কাছ থেকে দুই মাস পূর্বে মুন্নি আক্তার নামে একজনকে ঘরটি ভাড়া দেয়া হয়।
৯ আগস্ট শনিবার বিকাল ৪ টার সময় মজিবুর রহমান, মিজানুর রহমান, বাবুল মিয়া সহ আরো অনেকজন মহিলা এবং অজ্ঞাত আরো কিছু লোক জোড়পূর্বজ ভাংচুর করে আমার ঘরের ভাড়াটিয়া মুন্নি আক্তারকে ঘর থেকে বের করে দেয় এবং ঘরের জিনিসপত্র লুটপাট করে ও টাকা পয়সা চুরি করে। তিনি বলেন এই বিষয়ে আমরা থানায় অভিযোগ করেছি, সঠিক তদন্তপূর্বক আমাদের জায়গা ও ঘর বুঝে পাওয়ার জন্য এবং যারা ভাংচুর ও লুটপাট করছে তাদের বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে ভাড়াটিয়া ও প্রত্যক্ষদর্শী মুন্নি আক্তার পিতা- মোঃ লাল মিয়া সাং- মাদ্রাসা পাড়া উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের জানান, আমরা ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি এই জায়গাটির মালিক হুমায়ুন ভাই উনারা, আমার আগে আরো অনেকেই এখানে ভাড়া থেকেছে, জায়গাটি উনাদের দখলে ছিলো, আমি গত দুইমাস আগে ভাড়া নেই এবং সকল মালামাল নিয়ে নিরাপদেই থাকতে শুরি করি, শনিবার দুপুরে আমি পাশেই আমার বাবার বাড়িতে যাই এবং বিকালে হঠাৎ চিল্লাফাল্লা শুনে আমার বোনকে নিয়ে আমার বাসার দিকে গিয়ে দেখি মজিবর, মিজান, বাবলু সহ তাদের পরিবারের মহিলা ও ছেলেরা ঘরের তালা, দরজা-জানালা ভাংচুর করে আমার মালামাল গুলা বাহিরে ফেলে দিচ্ছে, নিজেদের মত করে লুটপাট করা শুরু করে, আমি গিয়ে বাধা দেই তখন তারা বলে এটা নাকি তাদের ঘর ও তাদের জায়গা, আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে মজিবরের মা দা দিয়ে কুপ দিতে আসে, আমি তাদের ভাংচুর করা সহ মারমুখি আচরণ গুলা আমার বোনকে দিয়ে ভিডিও করে রাখছি। ভিডিও গুলা ভুক্তভোগী ও প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।
সম্পাদক – মাহমুদুল হাসান সোহাগ | ঠিকানা – বাঘাইছড়ি, রাঙ্গামাটি | মোবাইল- ০১৬৯০-১৪৪৫৪