সাজেকে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় লুসাই ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠি এবং ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করবে সরকার। ব্যবসায়ীরা যেন আবার ব্যবসায ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্য ব্যাংকগুলো যেন সহজ শর্তে কর্পোরেট ঋণ দেয় সে ব্যবস্থা করা হবে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

বুধবার বিকালে সাজেক অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন এ ক্ষতি অপূরনীয় তবুও দায়িত্ব ও মানবিক দিক বিবেচনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার হাত বাড়ানো হবে।

স্থানীয় লুসাই ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠিরা প্রতিনিধিরা উপদেষ্টাকে তাদের ঘরগুলো নির্মাণ, মাধ্যম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হোস্টেল নির্মাণ এবং সাজেকে হাসপাতাল বা ক্লিনিক নির্মাণের অন্যান্য দাবি জানান।

ক্ষতিগ্রস্থ কটেজ, রিসোর্ট, রেস্তোঁরা বসায়ীদের পক্ষ থেকে সাজেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন, পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরী সহজ শর্তে ঋণের সুবিধার দাবি জানান।

পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ক্ষতিগ্রস্তদের দাবী সমূহ শুনে বলেন, দ্রুততম সময়ে সাজেকে বিশেষায়িত ফায়ার স্টেশন স্থাপনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অনুরোধ করা হবে। টেকশই ও গুণগত শিক্ষা ব্যবস্থা সৃষ্টির লক্ষে শিগ্রই উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেন, কটেজ মালিকরা যাতে কর্পোরেট লোন পায় তারজনন্য অর্থ উপদেষ্টাকে অনুরোধ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া স্থানীয় বাসিন্দদের গৃহ নির্মাণের জন্য প্রতি পরিবারকে ২ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য বরাদ্দের ঘোষনা দেন, হাসপাতাল বা ক্লিনিক নির্মাণের জন্য আগামী কেবিনেট মিটিং এ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দৃষ্টি কামনা করবেন এবং সাজেককে কিভাবে আরো সৌন্দর্যময় করে গড়ে তোলা যায় সে লক্ষে কাজ করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

সাজেক ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শনের সময় রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনী ত্রিপুরা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক হাবিব উল্লাহ, জেলা পরিষদের সদস্য দেব প্রসাদ দেওয়ান, প্রতুল বিকাশ দেওয়ান, বৈশালী চাকমা, বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী ও বিজিবির অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা ও পরিষদের সদস্যবৃন্দ, সাজেক কটেজ ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মণ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

[caption id="attachment_5875" align="alignnone" width="300"] পুড়ে যাওয়া স্থান[/caption]

এর আগে সকালে আগুনে পুড়ে যাওয়া স্থানীয় লুসাই ও ত্রিপুরা ৩৫ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে অগ্নিকাণ্ডে গঠিত তদন্ত কমিটির আহবায়ক মোবারক হোসেন ও সদস্য সচিব ইউ এন ও শিরীন আক্তার।