সাজেক জুনিয়র হাই স্কুলে সেনাবাহিনীর উন্নয়নের ছোঁয়া

প্রকাশিত: ৭:২২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০২৫

শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন”—এই মূলনীতি ধারণ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম জনপদে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও মানবিক উন্নয়ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার ৩৬ নং সাজেক ইউনিয়নে অবস্থিত সাজেক জুনিয়র হাই স্কুলে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে বাঘাইহাট জোন

ভারপ্রাপ্ত জোন কমান্ডার মেজর এম এম জিল্লুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে স্কুলটিতে যে উন্নয়নগুলো করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে

  • স্কুলের প্রবেশ গেট নির্মাণ
  • শহীদ মিনার নির্মাণ
  • কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ
  • জাতীয় পতাকা বেজ নির্মাণ
  • নতুন টয়লেট নির্মাণ ও পুরাতন টয়লেট সংস্কার
  • ডিজিটাল ক্লাসরুম ব্যবস্থা
  • ২০০০ লিটার পানির ট্যাংক স্থাপন
  • পানি বিশুদ্ধকরণ মেশিন স্থাপন
  • সংযোগ সড়ক নির্মাণ
  • ক্লাসরুমের ফ্লোর সংস্কার
  • লাইব্রেরি সংস্কার

এই সব উদ্যোগে স্কুলের অবকাঠামো ও শিক্ষার পরিবেশে দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে। পাশাপাশি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং এলাকার তরুণদের মানসিক ও সামাজিক বিকাশেও নতুন গতি তৈরি হয়েছে।

বাঘাইহাট জোনের ভারপ্রাপ্ত জোন কমান্ডার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে জানান—
“এই উন্নয়ন কার্যক্রম সাজেকের পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়ালেখার প্রতি নতুন আস্থা সৃষ্টি করেছে। শিক্ষা ও খেলাধুলার মাধ্যমে তারা সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ পাচ্ছে।”

স্থানীয়দের মতে, সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগ তরুণদের সঠিক পথে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। যখন পাহাড়ের কিছু এলাকায় বিভ্রান্তিমূলক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা দেখা যায়, তখন শিক্ষার মানোন্নয়নে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা এলাকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা আরও সুদৃঢ় করছে।

একজন প্রবীণ পাহাড়ি বাসিন্দা আবেগভরে বলেন—
“আগে আমাদের বাচ্চারা ঘরে বসে থাকত। এখন সেনাবাহিনীর উন্নয়ন কাজের ফলে স্কুল, খেলাধুলা, চিকিৎসা সবকিছুতেই তারা সুবিধা পাচ্ছে। আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ।”

ভারপ্রাপ্ত জোন কমান্ডার মেজর এম এম জিল্লুর রহমান বলেন, “পাহাড়ি মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বাঘাইহাট জোন ভবিষ্যতেও এ ধরনের মানবিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।”